বেশিদিন হয়নি ঢাকায় বসবাস করছেন সুমন ভাই। এরই মাঝে একটি ট্রাক কিনে শুরু করে দেন পণ্য পরিবহণের ব্যবসা। প্রথম দিকে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিগুলোয় গিয়ে বসে থাকতেন ট্রিপের আশায়। কিন্তু প্রত্যাশামতো ট্রিপ মিলতো না। এরপর তিনি জানতে পান ‘ট্রাক লাগবে’ অ্যাপ সম্পর্কে। ৬ মাস হয়েছে যুক্ত হয়েছেন ‘ট্রাক লাগবে’র সাথে। মাত্র ১টি গাড়ি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন উনি ৩ টি গাড়ির মালিক। আর এখন প্রতিনিয়তই অসংখ্য ট্রিপ নিয়ে চলেছেন ‘ট্রাক লাগবে’ থেকে। প্রথমদিকে ১ টি গাড়ি থাকায় ভোলার সন্তান সুমন ভাই বেশি ট্রিপ পেতেন না। কিন্তু তার স্ট্রাটেজি ছিল ভিন্ন। শিপারদের তিনি ব্যবসার লক্ষ্মীর মতো দেখেন আর তাই তাদের সাথে অন্যরকম এক সম্পর্ক গড়ে ফেলেন। আর এরই পুরস্কারস্বরুপ সুমন ভাই একের পর এক ট্রিপ পেতে থাকেন। আর ‘ট্রাক লাগবে’র সাথে যুক্ত হয়ে তার ট্রিপ সংখ্যাও বেড়ে যায়। তার মতে, ‘ট্রাক লাগবে’ তে ট্রিপ বেশি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারটি অন্যতম। দুরের পণ্য পরিবহণে শিপারদের কাছে নিরাপত্তার ব্যাপারটিই থাকে মুখ্য। উল্লেখ্য, ‘ট্রাক লাগবে’ অ্যাপে সুমন ভাই মূলত দুরের ট্রিপগুলোই বেশি নিয়ে থাকেন।
ডাটা পর্যালোচনা করে বেড়িয়ে আসে সুমন ভাইয়ের সফলতার আশ্চর্য সব সংখ্যা। ‘ট্রাক লাগবে’র ডাটা সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক ট্রিপ সম্পন্ন করেছেন। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের ১০ তারিখ পর্যন্ত তার ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৭১! যেখানে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি মাত্র ১৫ দিনে ট্রিপ থেকে আয় করেছেন ৭০ হাজার টাকা! সুমন ভাইয়ের মতে, নিমোক্ত বিষয়গুলো ‘ট্রাক লাগবে’ কে আলাদা করছেঃ
‘ট্রাক লাগবে’ অ্যাপ ব্যবহার করে যেমন পণ্য প্রেরকরা লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ট্রাক চালক ও মালিকরাও তাদের ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত এই অ্যাপ সার্ভিস ট্রাক চালক ও মালিকদের দিচ্ছে ব্যবসায়িক স্বাধীনতা ও অতিরিক্ত আয়ের সুযোগ। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুমন ভাইয়ের সফলতা তারই প্রমাণ দেয়। আর এই সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি হয়েছেন ‘ট্রাক লাগবে চ্যাম্পিয়ন’। ‘ট্রাক লাগবে’র চলার পথে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে তিনি সামনেও এই সাফল্য ধরে রাখার ইচ্ছা পোষণ করেন। একইসাথে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে তার মত অন্যান্য ট্রাক চালক ও মালিক ভাইয়েরাও ‘ট্রাক লাগবে’তে যোগ দিবেন।