বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ ও প্রকারভেদ

সড়কপথে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রথম ও বাধ্যতামূলক কাজটি হচ্ছে ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করা। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং হচ্ছে অপরাধেরই নামান্তর। তাই আগ্রহী গাড়ি চালকদের এই ব্যাপারটির উপর গুরুত্ব দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানবার আগে প্রথমেই লাইসেন্সের প্রকারভেদ বা ধরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া আবশ্যক।   

 

ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ ও প্রকারভেদ

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিমোক্ত ৫ শ্রেণীর হয়ে থাকে। এগুলো হলঃ

১) শিক্ষানবিস লাইসেন্স  

২) পেশাদার লাইসেন্স

৩) অপেশাদার লাইসেন্স

৪) পিএসভি লাইসেন্স

৫) ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স

যারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চান তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে লার্নার বা শিক্ষানবিস লাইসেন্স করা। গাড়ি অনুযায়ী ফি  প্রদান করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) থেকে এই লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে হয়। এরপর গ্রাহক ২/৩ মাস এই লাইসেন্স দিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। প্রশিক্ষণের পর তাকে  লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টে অংশ নিতে হয়।

শিক্ষানবিস লাইসেন্স থাকলেই শুধুমাত্র পেশাদার ও অপেশাদার লাইসেন্স পেতে আবেদন জানানো যাবে। নিজস্ব প্রাইভেট গাড়ি চালাতে অপেশাদার লাইসেন্স আর কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে গাড়ি চালাতে পেশাদার লাইসেন্সের প্রয়োজন দেখা দেয়। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। পাবলিক সার্ভিস ভেহিকেল বা গণপরিবহণ চালনার ক্ষেত্রেও আলাদা লাইসেন্স দরকার হয় যাকে বলা হচ্ছে পিএসভি লাইসেন্স। আর ইন্সট্রাক্টর লাইসেন্স মূলত ইন্সট্রাক্টরদের জন্য যারা গাড়ি কিংবা পরিবহণ ইত্যাদি সম্পর্কে ইন্সট্রাক্টর বা উপদেষ্টার কাজ করে থাকে।   

 

যানবাহন অনুসারে বাংলাদেশে লাইসেন্সের প্রকারভেদ

এছাড়া যানবাহনের রকমফের অনুসারে নিমোক্ত লাইসেন্সগুলো হয়ে থাকেঃ  

১) মোটর সাইকেল চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স  

২) অটোরিকশা ও অটো- টেম্পু চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স  

৩) হালকাযান, জীপ কিংবা মাইক্রোবাস চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স  

৪) মাঝারি মানের মোটরযান চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স

৫) ভারী মানের মোটরযান চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স

৬) ট্রাক্টর বা বিশেষ শ্রেণীর গাড়ি চালনায় ড্রাইভিং লাইসেন্স

 

বিশেষ বিশেষ যানবাহন অর্থাৎ মোটর সাইকেল চালনার লাইসেন্স চালনার জন্য রয়েছে মোটর সাইকেল লাইসেন্স। তেমনি রয়েছে অটোরিকশা, মাইক্রোবাস, মাঝারি ও ভারী মোটরযান এবং ট্রাক্টর কিংবা বিশেষ শ্রেণীর গাড়ীর জন্য আলাদা আলাদা লাইসেন্স। ট্রাক চালনার ক্ষেত্রে ড্রাইভারকে অবশ্যই পেশাদার লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে, সাথে সাথে মোটরযান চালনার লাইসেন্স থাকাও আবশ্যক।  তবে এই লাইসেন্সগুলো পাবার ক্ষেত্রে অতি আবশ্যিক বা মৌলিক বিষয় হচ্ছে আবেদনকারীকে অবশ্যই নির্ধারিত পরীক্ষা ও যাচাইবাছাই- এর মধ্যদিয়ে যেতে হবে।

 

এছাড়া গাড়ির লাইসেন্স সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত জানতে আমরা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি’র (বিআরটিএ) ওয়েবসাইট এর সহযোগিতা নিতে পারি। আশা করা যায়, যারা গাড়ি চালনায় আগ্রহী তারা এই সচেতনতামূলক দিক নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করবেন যা বাংলাদেশের ট্রান্সপোর্টেশন সেক্টরের চিত্র পাল্টে দিতে সক্ষম হবে।

Back to top