ট্রাকের জ্বালানি খরচ কমানোর ৪টি সহজ উপায়

ট্রাক চালানোর সময় জ্বালানি খরচ আয়ত্তে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে ট্রাকের উদ্দেশ্য যদি হয় দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া। 

তবে, অবশ্যই সঠিক যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রাকের জ্বালানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারেন। জ্বালানি সাশ্রয়ী এই উপায়গুলো শুধু খরচ কমাবে না বরং একইসাথে আপনার ট্রাকের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। 

আসুন দেখে নেই ট্রাকের জ্বালানি খরচ কমানোর এবং সাথে ট্রাকের কার্যকারিতা বাড়ানোর চারটি সহজ টিপস;

১. নিয়মিত ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ করুন: সময়মতো ইঞ্জিনের তেল পরিবর্তন, ফিল্টার পরিষ্কার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করা হলে ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং ভালোভাবে কাজ করবে। যার ফলে, অযথা তেলের অপচয় হবে না এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত তেল খরচও হবে না। তাই, ট্রাকের ইঞ্জিন সচল রাখার জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে একবার ইঞ্জিন পরীক্ষা করানো অপরিহার্য। নিয়মিত ইঞ্জিন রক্ষণাবেক্ষণ না করলে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে, ফলস্বরূপ আপনার জ্বালানি খরচ বেড়ে যাবে। 

২. টায়ারের চাপ বজায় রাখুন: টায়ারের সঠিক চাপ বজায় রাখলে শুধুমাত্র জ্বালানি খরচই কমে না বরং ট্রাকের জ্বালানি দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। যেমন, ট্রাকের টায়ারের চাপ সঠিক থাকলে টায়ারের সাথে রাস্তার ঘর্ষণ কমে, যার ফলে ট্রাক চলতে তুলনামূলকভাবে কম শক্তি প্রয়োগ হয়, ফলস্বরূপ জ্বালানি সাশ্রয় হয়। সঠিক পর্যায়ে চাপসম্পন্ন টায়ার ব্রেকিং সিস্টেম আরও কার্যকর হয় এবং ব্রেকিং সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করলে জ্বালানি খরচ কম হয়। টায়ারের সঠিক চাপ নিশ্চিত করতে হলে প্রতি মাসে একবার টায়ারের চাপ পরীক্ষা করা উচিত।

৩. অতিরিক্ত মালামালের চাপ এড়িয়ে চলুন: মাত্রাতিরিক্ত মালামাল বহন করলে ট্রাকের গতি ধীর হয়ে যায় এবং ইঞ্জিনকে বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ফলে, ইঞ্জিনের কার্যকারিতা কমে যায় এবং এতে অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ হয়। 

৪. নির্দিষ্ট গতিতে ট্রাক চালান: দ্রুতগতিতে ট্রাক চালালে জ্বালানি বেশি খরচ হয় এবং স্বাভাবিকভাবেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে, খুব ধীরগতিতে চালালেও ট্রাকের যন্ত্রাংশের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। তাই, নির্ধারিত গতিতে ট্রাক চালানো উচিত। নির্দিষ্ট গতিতে ট্রাক চালালে ট্রাকের জ্বালানি সাশ্রয় হবে এবং ট্রাকের সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে।

উপরে বর্ণিত টিপসগুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে ট্রাক চালানোর সময় জ্বালানি খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব, যা সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব। 

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, টায়ারের সঠিক চাপ বজায় রাখা, অতিরিক্ত মালামালের চাপ এড়িয়ে চলা এবং নির্ধারিত গতিতে ট্রাক চালানো শুধু জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রেই কার্যকরী না, বরং ট্রাকের কার্যক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদী করে। 





Back to top