পঞ্চগড়ের খাদিজা বেগমের ব্যবসায় সফলতার গল্প

পঞ্চগড়ের ছোট্ট এক গ্রামে বসবাস খাদিজা বেগমের। স্বামী এবং দুই সন্তান নিয়ে তার ছোট সংসার। সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির কথা চিন্তা করে তিনি বাড়ির উঠোনেই মুরগির খামার বানান। শুরু হয় খাদিজা বেগমের এক নতুন পথচলা। তবে, গ্রামের বাজারে প্রথম প্রথম মুরগি বিক্রি করে সামান্য লাভ করলেও, কিছুদিনের মধ্যেই তার সামনে উপস্থিত হয় ব্যবসার এক কঠিন বাস্তবতা। দিন দিন গ্রামের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের চাপে ন্যায্যমূল্য পাওয়া তার জন্য কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়ে। খাদিজা বেগম বুঝতে পারেন, ছোট বাজারে সুযোগ-সুবিধা সীমিত যা তার ব্যবসার গতি কমিয়ে দিচ্ছে। 

তাই, ব্যবসার গতি বাড়াতে গ্রামের গণ্ডি ছেড়ে খাদিজা বেগম এবার ঢাকায় তার খামারের মুরগি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। কেননা, ঢাকার আড়তগুলোতে মুরগির চাহিদা বেশি, এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। তার এই সিদ্ধান্ত ছিল একদিকে সাহসী, অন্যদিকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় মুরগি পরিবহন ছিল তার জন্য অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ। পরিবহনের খরচ, সময়মতো ডেলিভারির নিশ্চয়তা, এবং মুরগির নিরাপত্তা—সব মিলিয়ে খাদিজা বেগম পড়ে যান এক কঠিন পরিস্থিতিতে।

খাদিজা বেগমের ঠিক এই সময়েই গ্রামের এক পরিচিত ব্যবসায়ী তাকে জানালেন ট্রাক লাগবে অ্যাপের কথা। তিনি দেখলেন, সহজ, দ্রুত, এবং নির্ভরযোগ্য ট্রাক সেবার কারণে ট্রাক লাগবে অ্যাপটি ইতিমধ্যে ছোট-বড় অনেক ব্যবসায়ীর আস্থা অর্জন করেছে। শুরুর দিকে খাদিজা বেগম কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও একবার অ্যাপটি ব্যবহার করার পর এবং মুরগি প্রথমবারের মতো ঢাকার আড়তে পাঠানোর পর তার সংশয় পুরোপুরি দূর হয়ে যায়।

ট্রাক লাগবে যেভাবে বদলে দিলো খাদিজা বেগমের ব্যবসাঃ 

 প্রয়োজন অনুযায়ী সহজ ট্রাক বুকিং: খাদিজা বেগম তার প্রয়োজন অনুযায়ী ট্রাক খুঁজে পান ট্রাক লাগবে অ্যাপেই। এবং, মাত্র কয়েক ক্লিকেই বুক করে ফেলেন তার পছন্দসই ট্রাকটি নিমিষেই। যা তার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়। 

 নির্ভরযোগ্য ডেলিভারির সুবিধা: খাদিজা বেগমের সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল পরিবহনের সময় মুরগিগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে। তবে, ট্রাক লাগবে পণ্যের গুরুত্ব বুঝে সতর্কতার সাথে যেভাবে নিরাপদ পরিবহনের আস্থা দেয় তেমনি মুরগিগুলো খুব সাবধানে সময়মতো ঢাকার বাজারে পৌঁছে দেয়। 

খরচের নিয়ন্ত্রণ এবং মধ্যস্থতাকারীদের ঝামেলা এড়িয়ে চলার সুযোগ: ট্রাক লাগবে অ্যাপ ট্রাক ড্রাইভারদের বিড করার সুযোগ দেয় দযা খাদিজা বেগমকে পছন্দমতো ভাড়া নির্বাচনের সুবিধা দিয়ে থাকে। যার ফলে, তিনি সহজেই লোকাল ট্রাক ড্রাইভার এবং মধ্যস্থতাকারীদের ঝামেলা এড়িয়ে চলতে পারেন। 

এখন খাদিজা বেগম ঢাকার আড়তে মুরগি বিক্রি করে তার গ্রামের বাজারের তুলনায় দ্বিগুণ লাভ করেন। ব্যবসা বেড়ে উঠার সাথে সাথে তার আত্মবিশ্বাসও বাড়তে শুরু করে। তিনি এখন ট্রাক লাগবে অ্যাপ ব্যবহার করেই নিয়মিত তার খামারের মুরগিগুলো ঢাকায় পাঠান। তার জন্য এটি শুধু একটি অ্যাপ নয়, বরং একটি নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। 

আপনিও কি ব্যবসার জন্য নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা খুঁজছেন? তাহলে, দেরি না করে ডাউনলোড করুন ট্রাক লাগবে অ্যাপ এবং ব্যবসার গতি দ্বিগুণ করুন খাদিজা বেগমের মতো।

Back to top