ট্রাক ড্রাইভারদের একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য গাড়ি চালানো। এর কারণে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং পিঠ ব্যথার মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। ট্রাক চালকদের জন্য তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাক ড্রাইভাররা তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত কীভাবে করতে পারে তার টিপস জেনে নেয়া যাকঃ
১। পর্যাপ্ত ঘুমঃ সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অনেক দরকার, কিন্তু ট্রাক চালকদের প্রায়ই অনিয়মত সময়সূচী থাকে, যার ফলে ড্রাইভারদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়না। ট্রিপের মাঝে মাঝে চালকদের নিয়মিত ঘুমের চেষ্টা করা উচিত এবং ট্রাকে একটি আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ তৈরি করে যেমন পর্দা ব্যবহার করা ঘুমানো।
২। ব্যায়ামের জন্য সময় বের করাঃ ব্যস্ত সময়সূচীর মধ্যেও, শারীরিক ব্যায়ামের জন্য সময় বের করা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাক ড্রাইভাররা স্ট্রেচিং করে, বিশ্রামের বিরতির সময় হাঁটাহাঁটি, বা এমনকি সাধারণ কিছু অনুশীলন করে ব্যায়ামকে তাদের দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে পারেন।
৩। স্বাস্থ্যকর ডায়েট বজায় রাখা: রাস্তায় থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর খাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তবে খাদ্য পুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাক চালকরা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন তাজা ফল, বাদাম এবং শাকসবজি খেতে পারেন এবং বাইরে খাওয়ার সময় স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করতে পারেন। বেশি চর্বিযুক্ত, বেশি চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাও শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৪। নিয়মিত পানি পান করাঃ ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। ট্রাক চালকদের সারাদিন প্রচুর পানি পান করা উচিত এবং চিনিযুক্ত পানীয় এবং ক্যাফিন এড়িয়ে চলা উচিত, যা ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
৫। বিরতি নেয়াঃ নিয়মিত বিরতি নেওয়া কাজের চাপ কমাতে এবং মানসিক সুস্থতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। চালকদের বিশ্রাম এবং বিশ্রামের জন্য নিয়মিত বিরতির সময় নির্ধারণ করা উচিত, যেমন হাঁটা বা গান শোনা।
৬। মানসিক স্ট্রেস কম নেয়াঃ ট্রাক ড্রাইভিং অনেক ধকলের কাজ। ড্রাইভারদের স্ট্রেস কমানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত, যেমন গভীর শ্বাস নেয়া, মননশীলতা বা ধ্যান। এছাড়াও ড্রাইভারদের গাড়ি চালানোর সময় গান বা রেডিও শোনা রাস্তার ধকল কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৭। পারিবারিক বন্ধন বজায় রাখাঃ ট্রাক চালকদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখা উচিত। নিয়মিত ফোন কল, ভিডিও চ্যাট বা সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক সংযোগ বজায় রাখতে এবং বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৮। নিজের যত্ন নেয়াঃ ট্রাক ড্রাইভারদের নিজের যত্ন নেয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যা মানসিক সুস্থতাকে উন্নত করে। যেমন পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।