পছন্দের ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

রেফ্রিজারেটর আপনার বাসার দৈনন্দিন খাদ্য সংরক্ষণে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি, রেফ্রিজারেটরের বিভিন্ন ব্যবহার রয়েছে যা আপনার রান্না এবং খাদ্যাভ্যাসকেও প্রভাবিত করে। আমরা সবাই জানি যে রেফ্রিজারেটর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। একইভাবে, প্রতিটি মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দামে আপনি বাজারে অনেক ধরনের ফ্রিজ পাবেন। তাই আপনার জন্য বাজেটের মধ্যে সঠিক ফ্রিজটি কিনার জন্য ফ্রিজ কিনার পূর্বেই অনেক বিষয় বিবেচনা করে বাছাই করা দরকার। আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চিন্তা করে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনঃ

 

ফ্রিজ রাখার স্পেসঃ

ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে আপনার পছন্দের ফ্রিজেটি রাখার জন্য ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা। ফ্রিজের সামনের দিকে পর্যাপ্ত পরিমান খালি জায়গা রাখতে হবে যেন ফ্রিজ খোলার সময় দরজা দেয়ালে না লাগে। একইভাবে বাতাস চলাচলের জন্য ফ্রিজের পেছনে ও পাশে প্রায় ১ ইঞ্চি জায়গা রাখতে হবে। প্রবেশদ্বারে রেফ্রিজারেটর ঢোকানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা তাও বিবেচনা করা প্রয়োজন।

 

ফ্রিজের প্রাইজঃ

ফ্রিজ বাছাই করার সময় বাজেটের কথাও মাথায় রাখতে হবে। কারন বাজেটের উপর নির্ভর করছে আপনার কি ধরনের ফ্রিজ কেনা উচিত। আপনি আপনার ফ্রিজে কি ধরনের সুবিধা চান তাও বিবেচনা করতে হবে। বাজারে বিভিন্ন দামে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিজ পাওয়া যায়। তাই আপনি কিনতে যাওয়ার আগে, আপনি কতটা ব্যয় করতে আগ্রহী তা নির্ধারণ করুন।

 

ফ্রিজের স্টাইলঃ

ফ্রিজ কিনার আগে আপনার জানা উচিত আপনার বাসার জন্য আপনার কোন স্টাইলের ফ্রিজ দরকার। তাই স্টোরে যাওয়ার আগে জেনে নিন আপনার বিকল্পগুলো কী কী। 

French door

ফ্রেঞ্চ ডোর ফ্রিজ:

এই ধরনের ফ্রিজের দুটি ডোর বাইরের দিকে খোলা থাকে, এবং ফ্রিজার নীচে থাকে।

পাশাপাশি:

এই ধরনের রেফ্রিজারেটরে ফ্রিজার এবং ফ্রিজ পাশাপাশি থাকে।

টপ ফ্রিজার:

এই ধরনের ফ্রিজে ফ্রিজার উপরে থাকে এবং ফ্রিজ নীচে থাকে।

নীচের ফ্রিজার:

এই ধরনের ফ্রিজে ফ্রিজার নিচে থাকে এবং ফ্রিজ উপরে থাকে।

 

ফ্রিজের ধারণক্ষমতাঃ

আপনার রেফ্রিজারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় স্টোরেজ ক্ষমতা জানাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিবারের সদস্য কতজন এবং আপনার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করছে আপনার ফ্রিজের ধারণক্ষমতা কেমন হওয়া উচিত। আপনি যদি একজন ব্যাচেলর হন তবে সিঙ্গেল ডোর ফ্রিজ আপনার ঘরের জন্য উপযুক্ত। যদি পরিবার নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বেশি ধারণক্ষমতার ফ্রিজ আপনার দরকার।

 

এনার্জি রেটিংঃ

ফ্রিজ কেনার সময় এনার্জি রেটিং দেখা উচিত। Energy Star দেখে বুঝতে পারবেন আপনার রেফ্রিজারেটর কতোটুকু শক্তি খরচ করছে এবং এটি পরিবেশবান্ধব নাকি। তাই ফ্রিজের এনার্জি রেটিং যদি বেশি হয় তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার বাসার বিদ্যুৎ বিল কম আসবে এবং এর ফলে আপনি বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। তাই ফ্রিজ কেনার সময় ভালো এনার্জি স্টার রেটিং দেখে কিনা উচিত।

 

E3-Energy-Rating-Label

 

ইলেক্ট্রনিকস শোরুম এবং সাইট পরিদর্শন এবং তালিকা করাঃ

ফ্রিজ কেনার সময় আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হল কোন জায়গা থেকে কেনা উচিত। আপনার কাছে দুই ধরনের বিকল্প আছে। আপনি চাইলে কোনো ইলেক্ট্রনিকস শোরুম থেকেও কিনতে পারেন অথবা অনলাইন সাইটগুলো থেকেও কিনতে পারেন। কেনার আগে একটি তালিকা করে নিলে আরও ভাল হয়। এছাড়াও সবজায়গায় দামের ভিন্নতা থাকায় ফ্রিজ কিনার আগে দামের যাচাই করা উচিত। ওয়ালটন, স্যামসাং, সিঙ্গার, যমুনা এবং কঙ্কা হল কয়েকটি পপুলার ব্র্যান্ড যা আপনি আপনার প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারেন।

রেফ্রিজারেটর প্রতিটি বাসার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি হোম অ্যাপ্লায়েন্স। তাই ফ্রিজ কিনার পূর্বে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও ডিফ্রস্টার, কম্প্রেসার এবং ফ্রিজের অন্যান্য ফিচারগুলোও মাথায় রেখে ফ্রিজ কেনা উচিত। আর কেনার পর ফ্রিজটি বাসায় নিতে আপনি "ট্রাক লাগবে" অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার রেফ্রিজারেটরটি পরিবহন করতে পারেন।

Download Now

 

Back to top