পাহাড়ি অঞ্চলে রাস্তার অবস্থা এবং প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে সবসময়ই একধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। এমন অঞ্চলের খাড়া রাস্তা, আঁকাবাঁকা পথ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং পরিবহনের সীমিত সুযোগ এই চ্যালেঞ্জগুলোকে করে তোলে আরও জটিল। যেমন, পাহাড়ি রাস্তাগুলো সাধারণত সংকীর্ণ হয়ে থাকে। এজন্য, বৃষ্টি হলে রাস্তা কাদাময় হয়ে পড়ে, যা পরিবহন কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এছাড়া, শীতকালে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়া বড় একটি সমস্যা। কিন্তু এই প্রতিকূলতাকে জয় করে পাহাড়ি এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার সাফল্যের অভিজ্ঞতাও কম নয়।
এমনই এক সফলতার অভিজ্ঞতার জন্য খাগড়াছড়ির স্থানীয় ফল ব্যবসায়ী রফিক সাহেবের নাম উল্লেখযোগ্য। আগে তিনি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁপে বাজারে আনতে বিপুল সমস্যার সম্মুখীন হতেন। ট্রাক চালকরা বেশিরভাগ সময়ই পাহাড়ি অঞ্চলগুলো এড়িয়ে চলেন বা অতিরিক্ত ভাড়া চেয়ে থাকেন। এতে, কখনো ট্রাক পাওয়া যেত না বা পরিবহন ভাড়ার কারণে লোকসান হতো। কিন্তু, ট্রাক লাগবে- এর মাধ্যমে তিনি এখন সহজেই ট্রাক বুক করতে পারেন, যার ফলে তাঁর ব্যবসার গতি বেড়ে গেছে। তার উৎপাদিত ফলগুলো এখন তিনি সময়মতো বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন এবং ন্যায্য মূল্য পান। কারন, ট্রাক লাগবে অভিজ্ঞ ড্রাইভার এবং নিরাপদ ট্রাক প্রদান করে থাকে।
ট্রাক লাগবে যেভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ করেছে :
ট্রাক লাগবে অ্যাপ পাহাড়ি এলাকায় পরিবহনের সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান নিয়ে এসেছে। সহজে ট্রাক বুকিং থেকে শুরু করে, রিয়েল-টাইম আপডেট এবং নিরাপদ ডেলিভারি পর্যন্ত সবকিছুই নিশ্চিত করে থাকে। এছাড়া, দক্ষ এবং ভেরিফাইড ড্রাইভার নিশ্চিত করায় ট্রাক চালানোর সময় চালক এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখে;
১। পাহাড়ি রাস্তায় চলার আগে সঠিক পরিকল্পনা এবং রুট ম্যাপ দেখে নেয়া।
২। ট্রাকে যথেষ্ট পরিমাণে জ্বালানি, টুল এবং স্পেয়ার পার্টস রাখা।
৩। আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে রাখা।
৪। বিশ্বস্ত ও দক্ষ পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা।
পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবহন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সঠিক পরিকল্পনা এবং উপযুক্ত পরিবহন মাধ্যমের মাধ্যমে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ট্রাক লাগবে- এর মতো প্রযুক্তিনির্ভর সেবা এই যাত্রাকে করে তুলেছে আরও সহজ।
