ঢাকা সিটিতে প্রতি মাসেই অসংখ্য ফ্যামিলি এবং ব্যাচেলর বাসা শিফটিং হয়ে থাকে । ফ্যামিলি বাসা শিফটিং এর ক্ষেত্রে সকলে মিলে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেওয়ার সুযোগ থাকে কিন্তু একজন ব্যাচেলরের শিফটিং এর সময় তার নিজেকেই সবকিছু সামলে নিতে হয়। তাই মালামাল কম থাকলেও আদতে তার জন্য বাসা বদল মোটেই সহজ বিষয় নয়।
হঠাৎ করে বাসা বদল করতে গেলে অনেক রকম সমস্যাতেই পড়তে হয় একজন ব্যাচেলরকে, যার মধ্যে পিকআপ সময়মত না আসা, লেবার খুঁজে না পাওয়া অন্যতম প্রধান সমস্যা। তাই আগে থেকে প্ল্যানিং করে যদি শিফটিং এর প্রস্তুতি নেওয়া হয় তবে এ-ধরনের ঝামেলা অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
(ফ্যামিলি বাসা বদলে ঝামেলা কিভাবে কমানো সম্ভব তা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি এখানে।)
চলুন জেনে নেই কিছু বিষয় খেয়াল রেখে কিভাবে খুব সহজেই ব্যাচেলররা ঢাকা সিটিতে বাসা শিফট করতে পারবেনঃ
১। নতুন রুম খোঁজার ২ মাস আগে বর্তমানে যেখানে আছেন, সেখানে ফ্ল্যাটের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিকে জানিয়ে দিন আপনি কোন মাস থেকে রুম ছেড়ে দিচ্ছেন ।
২। রুমে উঠার সময় যে পরিমাণ টাকা এডভান্স করেছিলেন সেই এডভান্সের টাকা কিভাবে এডজাস্ট করবেন তা নিয়ে ভালোভাবে কথা বলে রাখুন। এক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ১ টি উপায়ে এডভান্স এর টাকা ফেরত নিতে পারেন।
প্রথমত, আপনি শেষ ২ বা ১ মাসের রুমের ভাড়া (আপনি কয় মাসের রুমের ভাড়া এডভান্স করেছিলেন এর উপর নির্ভর করে) না দিয়ে এডভান্সের টাকা এডজাস্ট করতে পারেন। অথবা রুম ছেড়ে দেওয়ার সময় ফ্ল্যাটের দায়িত্বে যিনি আছেন তার কাছ থেকে এডভান্সের পুরো টাকা নিয়ে নিতে পারেন।
৩। যে এলাকায় শিফট করবেন সেখানে রুম খোঁজা শুরু করুন মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে, ঢাকা সিটির বেশিরভাগ এলাকাতেই যে মাসে রুম খালি হবে সেই মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যেই টু-লেট দেওয়া হয়। তাই চেষ্টা করবেন ৫ তারিখের মধ্যেই রুম খোঁজা শুরু করতে অন্যথায় ভালো রুম ভাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪। রুম পছন্দ হয়ে গেলে ভাড়ার এডভান্স এর ব্যাপারে কথা বলে নিন এবং বুকিং মানি দিয়ে রুম কনফার্ম করুন।
এরপরেই যে বিষয় আসে তা হল বাসা বদলের আগে মালামাল পরিবহণ করে নতুন স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং লেবারের সহায়তায় মালামাল উঠানো এবং নামানো। চলুন জেনে নেই এরকম ৬টি বিষয়, যা খেয়াল করলে খুব সহজেই ব্যাচেলররা ঢাকা সিটিতে বাসা শিফট করতে পারবেনঃ –
একজন ব্যাচেলরের রুমে ফার্নিচার বলতে সাধারণত থাকে একটি খাট, একটি টেবিল এবং ওয়ার্ড্রোব। এই সকল জিনিসপত্র পরিবহণের জন্য ছোট ১ টন ৭ ফিট লম্বা পিকআপই যথেষ্ট । অনেক সময় একই ফ্ল্যাটের ২-৩ জন একসাথে নতুন জায়গায় শিফট করেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য ২ টন ১২ ফিটের ১ টা মাঝারি সাইজের খোলা পিকআপই যথেষ্ট।
শিফটিং কোথা থেকে কোথায় হচ্ছে এবং কতক্ষণ সময় লাগছে শিফটিং এর জন্য তার উপর নির্ভর করে পিকআপ ভাড়ার রেট। দূরুত্ব অনুযায়ী ঢাকা সিটির মধ্যে ১ টন ৭ ফিট পিকআপের ভাড়া ৭০০ থেকে ১৫০০ এবং ২ টন ১২ ফিটের পিকআপ এর রেট সাধারণত ২০০০-৩০০০ টাকা হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে আপনি “ট্রাক লাগবে” অ্যাপ থেকে ঘরে বসেই পিকআপ ভাড়া করতে পারবেন। ঢাকা শহরের মধ্যে পিকআপের ভাড়া অ্যাপে ফিক্সড করে দেয়া রয়েছে। আপনি শিফটিং এর ১-২ দিন আগে অ্যাপে রিকোয়েস্ট করলেই মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই আপনার জন্য একটি পিকআপ বুক করতে পারবেন। ১২ ফিটের ট্রাক ভাড়া করার ক্ষেত্রে এই সময় সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত লাগতে পারে।
বিঃদ্রঃ আপনি শিফটিং সার্ভিসের জন্য দক্ষ লেবারসহ বাসা বদলের স্পেশাল প্যাকেজও নিতে পারেন। ফ্যামিলি এবং ব্যাচেলরদের জন্য “ট্রাক লাগবে” এর স্পেশাল হোম শিফটিং সার্ভিস রয়েছে সারা দেশ ব্যাপী।
ব্যাচেলরদের সাধারণত ভারী জিনিসপত্র ২-৩টি থাকে এবং অন্যান্য সবকিছুর মধ্যে থাকে বই এবং কাপড়-চোপড়ের বস্তা, যা পরিবহণে ফ্যামিলি বাসার মত বেশি লেবারের প্রয়োজন হয় না। অনেক ক্ষেত্রে যারা খরচ কিছুটা কমাতে চান তারা ১ জন লেবার এবং নিজে কিছুটা সহয়তা করে ম্যানেজ করে নেন।
তবে ট্রাক লাগবে’র হোম শিফটিং এক্সপার্ট এর মতে সব সময় ২ জন লেবার নেওয়া নিরাপদ, এতে করে খরচ কিছুটা বাড়তি আসলেও মালামাল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
মালামাল পরিবহণের জন্য ২ টন ১২ ফিটের পিকআপ দরকার হলে এক্ষেত্রে ৪ জন লেবার প্রয়োজন হবে মালামালের পরিমাণ অনুযায়ী।
আপনি যদি অ্যাপ থেকে শুধু পিকআপ ভাড়া করে শিফট করতে চান সেই ক্ষেত্রে পিকআপ ভাড়ার পর ট্রাক মালিককে বলে দিতে পারেন আপনার লেবারও দরকার। এক্ষেত্রে লেবার এর চার্জ নিয়ে আলাদাভাবে পিকআপ মালিকের সাথে কথা বলে নিতে হবে।
ব্যচেলর রুম শিফটিং এর জন্য লেবার চার্জ মাসের কোন সময়ে শিফট করছেন তার উপর নির্ভর করে। এই চার্জ সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ খরচ মালামালের পরিমাণ এবং শিফট করতে কত সময় প্রয়োজন তার উপর নির্ভর করে। শিফটিং মাসের কোন সময়ে এটাও প্রভাব ফেলে চার্জের উপরে, কেননা মাসের শেষে বাসা বদলের চাহিদা বেশি থাকে।
বিঃদ্রঃ উপরে উল্লেখিত খরচ ৪র্থ তলা থেকে ৪র্থ তলা শিফটিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, এর বেশি তলা থেকে শিফটিং এর ক্ষেত্রে লেবার এর চাহিদা অনুযায়ী চার্জ বেশি হতে পারে।
১ জন ব্যাচেলরের বাসা বদলের জন্য দূরত্ব এবং মালামালের পরিমাণের উপর নির্ভর করে বাসা বদলের সর্বমোট খরচের পরিমাণ লেবার চার্জসহ সর্বনিম্ন ১৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
ঢাকা সিটির ভিতরে বাসা বদলের জন্য ২ টন ১২ ফিটের পিকআপ দরকার হলে লেবারসহ বাসা বদলের খরচ ৫০০০-৬০০০ এর মধ্যে হয়ে থাকে। ঢাকা সিটির বাইরে শিফটিং এর খরচ দূরত্বের উপর নির্ভর করে বৃদ্ধি পাবে।
বাসা বদলের জন্য শুধু পিকআপ ভাড়ার দরকার হলে আপনি সরাসরি প্লে স্টোর থেকে “ট্রাক লাগবে” অ্যাপ ডাউনলোড করে পিকআপ ভাড়া করতে পারবেন।
আর যদি স্পেশাল শিফটিং সার্ভিসের প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে আপনার শিফটিং এক্সপেরিয়েন্স আরো ইজি করতে সরাসরি ট্রাক লাগবে’র হোম শিফটিং টিমের সাথে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে- ০৯৬৩৮০০০২৪৫ ,
ব্যাচেলরদের শিফটিং এর জন্য ট্রাক লাগবে কাস্টোমাইজেবল প্যাকেজ সুবিধাও দিয়ে থাকে, যা অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী এবং প্রফেশনাল লেবার দ্বারা পরিচালিত।