আপনার ব্যবসা অথবা জীবিকা যদি হয় পণ্য প্রস্তুত বা সরবরাহ তাহলে আপনাকে মেনে নিতে হবে ট্রাক ছাড়া আপনি কার্যত অচল। আপনাকে প্রতিদিন ট্রাক ভাড়া করতে হয় পণ্য গন্তব্যে পৌছানোর জন্য। সময়মত এবং সঠিক জায়গায় পণ্য পৌছানো একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় তাই ট্রাক ব্যবসায়ীরা দেশের উন্নয়নে একটি বিশাল ভুমিকা পালন করেন। তাদের দক্ষতা যত বাড়বে আমরা ততো লাভবান হব। ট্রাক ব্যবসায়ীগন সাফল্য পেতে চাইলে নিচের ১০ টি টিপস জেনে রাখতে পারেন।
রাস্তায় চলতে গেলে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলো ট্রাকের সাথে সার্বক্ষনিক থাকতে হয়-
রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়া অন্য কাগজপত্রগুলোর একটি নির্দিস্ট মেয়াদ থাকে যা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে খেয়াল রাখতে হয়। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাকীগুলোর মেয়াদ ০১ বছরের বেশি হয়না। এগুলো হালনাগাদ করতে আপনাকে বেশ কয়েকটি অফিসে যেতে হবে তার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুট পারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য স্থানীয় বিআরটিএ অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। ট্যাক্স টোকেনের ক্ষেত্রে নির্দিস্ট ব্যংকে গিয়ে সরকার থেকে নির্ধারিত টাকা জমা দিলেই পেয়ে যাবেন। ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেটের জন্য কোন বাধ্যবাধকতা নেই, মটর ইন্সুরেন্স করে এমন কোম্পানিতে গিয়ে বললেই হবে। টাকার অংক নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের মটর ইন্সুরেন্স করাবেন। যাবার সময় অবশ্যই সাথে অন্য যেকোন একটি সার্টিফিকেট নিয়ে যাবেন যেখানে ট্রাকের ইঞ্জিন নাম্বার এবং চেসিস নাম্বার লেখা থাকে, সেটা হতে পারে ট্যাক্স টোকেন অথবা ফিটনেস সার্টিফিকেট।
ট্রাকের কাগজপ্ত্র নিয়ে প্রথমেই বলার কারন হচ্ছে এগুলো ছাড়া আপনি রাস্তায় ট্রাক পরিচালনা করতে পারবেন না । পুলিশ যদি আপনাকে কোন ডেট ফেল কাগজসহ ধরতে পারে তাহলে যে জরিমানা হবে তা আপনার জন্য পরিশোধ করা ব্যয়বহুল হবে, বিশেষ করে সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই জরিমানার পরিমান একজন ট্রাক মালিকের জন্য অকল্পনীয়। যেমন – রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট ছাড়া কোন যেকোন গাড়ী যদি আটক হয় তাহলে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের জেল দেওয়া হবে। সুতরাং, কড়া নজর রাখুন কখন কোন কাগজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এবং সময়মত হালনাগাদ করে ফেলুন।
পরিবহন ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তারা সবাই জানেন বাংলাদেশে বড় ট্রাক পুরো তৈরি অবস্থায় আসেনা। ইঞ্জিন এবং চেসিস আমদানি করা হয়। এরপর আমদানিকারকের নির্ধারিত বা স্থানীয় ওয়ার্কশপে বাকী কাজগুলো যেমন- বডি বানানো, রং করা ইত্যাদি সম্পন্ন করেন। ছোট ট্রাক বলতে ১ টন বা দেড় টন মাপের গাড়ীগুলো কমপ্লিট হয়েই আসে কিন্তু বাংলাদেশের রাস্তায় চলার জন্য কিছু অদল-বদল করার প্রয়োজন হয়।
ট্রাকের বডি প্রস্তুত করার সময় সরকারের দেয়া কিছু নিয়ম পালন করা অত্যাবশ্যকীয়। যেমন- একটি ১৫ টন ধারনক্ষম ট্রাক লম্বায় ২২ ফিট এবং পাশে ০৮ ফিটের বেশি হতে পারবেনা। যদি আপনি এই নিয়ম না মানেন তাহলে আপনাকে জরিমানা গুনতে হতে পারে বিভিন্ন সময়। ক্ষেত্রবিশেষে আপনার ট্রাকের বডি কেটে ফেলতে পারে যদি মোবাইল কোর্টে এ আটক হন। এছাড়াও বাড়তি রেলিং, নিয়ম বহির্ভুত বাম্পারের কারনে আপনার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
আপনার গাড়ীর রঙ কি হবে তা আপনি যখন কাগজপত্র করবেন তখনই ঠিক করা হয়। রাস্তায় শৃংখলা রক্ষার্থে কমার্শিয়াল এবং প্রাইভেট ট্রাকের রঙ ভিন্ন হয় এবং আপনাকে কত ধরনের রং ব্যবহার করতে হবে তাও বলে দেয়া হবে। আপনাকে এই বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে কারন সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে এসবের জন্য আলাদা ধারা ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
ট্রাকের বড় ধরনের মেরামত বলতে আমরা ইঞ্জিনের কাজকেই বুঝি কারন বড় অংকের টাকা এখানেই খরচ হয়। ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা ঠিক না থাকলে প্রতিটি ধাপেই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইঞ্জিনের রক্ষানাবেক্ষন করতে সময়ানুযায়ী লুব্রিকেন্ট, ফিল্টার, এয়ার ফিল্টার বদলে ফেলতে হবে। ইঞ্জিন ওয়েলের লেভেল ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে কারন ইঞ্জিন যত পুরনো হবে ততো ভেতরের লুব্রিকেন্টের কার্যকারীতা কমতে থাকবে তাই বদলানোর হার বাড়াতে হবে। উদাহরনসরুপ, একবার মবিল বদলানোর পর ট্রাক ১০,০০০ কিলোমিটার চললেও ইঞ্জিন পুরাতন হলে ৭০০০ কিলোমিটার চলার পরেই বদলে ফেলতে হবে । খেয়াল রাখতে হবে ট্রাক থেকে কি কালো ধোয়া বের হচ্ছে কিনা। ধোয়ার রঙ সাদাটে বর্ন ধারন করতে দেখলে ধরে নিতে হবে ইঞ্জিনের রিং-পিস্টন বদলানোর সময় হয়ে গিয়েছে।
ট্রাকের চাকা ঘুরলেই ব্যবসা আর চাকা বলতে আমরা টায়ারকেই বুঝি। ট্রাক যত চলবে টায়ার ততো ক্ষয় হবে। টায়ার যখন কেনা হয় তখন উতপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্যারান্টি, ওয়ারেন্টি অথবা কত কিলোমিটার চলবে তা বলে দেয় কিন্তু এটা আসলে নির্ভর করে রাস্তার অবস্থা কেমন তার উপর। খারাপ রাস্তায় বেশিদিন চললে টায়ারের আয়ু কমে যায় দ্রুত এবং একটা সময় পরে মাঝরাস্তায় ফেটে গিয়ে বহনকৃত মালামাল আর সময়মত পৌছাতে পারেনা। এক্ষেত্রে ক্ষয়ে যাওয়া টায়ার আরো কিছুদিন চালাতে আপনি টায়ারগুলোকে সামনে পিছনে ঘুরিয়ে লাগাতে পারেন। যেমন- পিছনের দুই চাকা থেকে একটি করে খুলে সামনে দিয়ে দিতে পারেন আর পিছনে নতুন দুটি টায়ার যোগ করতে পারেন।
যারা অনেক লম্বা দূরত্বে যাত্রা করবেন আর সময়টা যদি গ্রীস্মকাল হয় তাহলে টায়ার পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে পারেন যাতে রাস্তার সাথে অতি ঘর্ষনের কারনে টায়ার গরম হয়ে ফেটে না যায়। টায়ারে বাতাসের চাপ ঠিক আছে কিনা লক্ষ্য রাখা জরুরি কারন বেশি চাপ হলে ট্রাক ঝাকি খাবে বেশি আর কম থাকলে টায়ার ক্ষয় হবে বেশি। প্রতিবার যাত্রা বিরতিতে টায়ারে পিন ঢুকেছে কিনা কিংবা টায়ারের কোথাও ফুলে উঠেছে কিনা লক্ষ্য রাখলে অনাকাংখিত বিলম্ব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
ট্রাকের ধরন অনুযায়ী কতটুকু ভার বহন করতে পারবে তার একটি সীমা আছে , এর থেকে যদি বেশি নেওয়া হয় তাহলে ট্রাকের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেক সময় যে ট্রাক ভাড়া নেয় বা শীপার সর্বোচ্চ ভার বহন বা সর্বোচ্চ সীমা থেকেও বেশি ভার বহন করতে অনুরোধ করে এবং ট্রাক মালিকগন অল্পকিছু বেশি ভাড়ার জন্য এই ট্রিপগুলো নিয়ে থাকেন যা ট্রাকের জন্য ভালো কিছু নয়। এর ফলে যা হতে পারে তা হল টায়ার দ্রুত ক্ষয় হবে, ইঞ্জিনের ক্ষমতা কমতে থাকবে, চেসিস দুর্বল হতে থাকবে। এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন নিয়ে আপনি অনেক সেতু পার হতে পারবেন না। যেমন- মেঘনা সেতু পার হতে গেলে আপনার ট্রাকের সর্বোচ্চ ওজন ২২ টনের বেশি হতে পারবেনা।
আলো ছাড়া কেউই অন্ধকারে চলতে পারে না সেখানে ট্রাক কিভাবে চলবে। বিশেষ করে রাতের বেলা কিংবা কুয়াশার সময় ট্রাক চালাতে গেলে পর্যাপ্ত আলো না থাকলে দুর্ঘটনা ঘটা সময়ের ব্যাপার মাত্র। দীর্ঘদিন চলার কারনে হেডলাইটের আলো কমতে থাকে এবং অনেক সময় ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিং এ সমস্যা থাকার কারনেও আলো কম হয় । বাংলাদেশে শীতপ্রধান দেশ না হওয়ার কারনে কুয়াশা নিয়ে আমাদের তেমন চিন্তা থাকেনা এবং অধিকাংশ ট্রাকে ফগ লাইট লাগানো থাকেনা। শীতকাল আসলে সচেতন ট্রাক মালিকগন ফগ লাইট কিনে ফেলেন। ট্রাকের টেল লাইটগুলো ঠিক আছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখা উচিত নাহলে পিছনের ট্রাক বুঝতে পারবেনা আপনি বামে না ডানে যেতে চাচ্ছেন। সামনের বা পিছনের লাইট যখনি বদলাবেন জোড়া হিসাবে বদলাবেন। এছাড়া নিয়মিত হেডলাইটের লেন্স, উজ্জলতা খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে অনাকাংখিত দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন।
ট্রাকের গতি বাড়ানো তেমন কঠিন ব্যপার না, এক্সিলারেটরে চাপ দিলেই বাড়ে কিন্তু জায়গামত ব্রেক করে নিয়ন্ত্রন করাই ভালো চালকের গুন। কিন্তু ব্রেক যদি ঠিকমত কাজ না করে তাহলে লাভ নেই। তাই রাস্তায় নামার আগে ব্রেকিং সিস্টেম ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। ট্রাকের ব্রেকিং সিস্টেম একেক ট্রাকের একেক রকম। কিন্তু কিছু পার্টস আছে যেমন ব্রেক প্যাড, পিন, বুশ এগুলো নিয়মিত পরিবর্তন করা হলে ব্রেকিং সিস্টেম ভাল থাকে। নিয়মিত গ্রিজিং করাটাও জরুরি।
আপনি ট্রাক ব্যবসা করতে পারবেন কিনা নাকি দেউলিয়া হবেন তা সম্পুর্ন নির্ভর করে যে ব্যক্তি ট্রাকটি চালাচ্ছেন তার উপর। চালক যদি ভাল এবং অভিজ্ঞ হয় তাহলে আপনার ব্যবসার লাভের চাকা ঘুরবেই। বাংলাদেশে ট্রাক ব্যবসায় ভাল চালক পাওয়াকেই প্রধান অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একজন চালককে ট্রাক চালনার সাথে সাথে আরো অনেক কিছুই করতে হয়। ট্রাক চালক নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি-
অনেক ট্রাক মালিক রাতে ঘুমাতে পারেন না শুধু এই চিন্তা করেই যে তার ট্রাকটি ঠিক রাস্তায় গেল কিনা কিংবা শিপমেন্ট নিয়ে এখন কোথায় আছে। কিছুক্ষণ পরপর ড্রাইভারকে ফোন করে বিরক্ত করাটা ছিল এই ইন্ডাস্ট্রির পুরোনো গল্প। এসব নিয়ে টেনশনে না থেকে একটু টাকা খরচ করে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (Global Positioning System) বা জিপিএস ইন্সটল করে নিলেই ৯০ ভাগ সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। জিপিএসের মাধ্যমে আপনার ট্রাকের অবস্থান ছাড়াও ট্রাকে কি পরিমাণ জ্বালানি আছে, কত টন পণ্য লোড করা হয়েছে এসবই জানতে পারবেন।
আপনি ব্যবসায়িক ভাবেও লাভবান হবেন কারন আপনার ট্রাক চালক আপনার সাথে তার অবস্থান নিয়ে ভুল বলতে পারবেনা। বিনা কারনে কোথাও দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে বুঝবেন কোন সমস্যা হয়েছে যা আপনাকে জানাতে চাচ্ছেনা। শিপমেন্ট আরো দ্রুততার সাথে গন্তব্যে যাবে এবং ট্রিপের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
আপনার ট্রাক ব্যবসার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আপনার ট্রাকের ট্রিপ বা ভাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী যোগাড় করার ক্ষমতার উপর। ট্রিপের অভাবে ট্রাক স্ট্যান্ডে বসে থাকলেও মাস শেষে কিস্তি, চালকের বেতন কিন্তু দিতেই হবে। ট্রাক মালিকগণ সাধারনত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি এবং ঠিকানাবিহীন মধ্যস্বত্বভোগীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখেন এবং লাভের একটা বড় অংশ এদের কাছেই থেকে যায়। তাই ট্রাক ব্যবসায়ীগন এই সঙ্কট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। কিন্তু এই সঙ্কটেরো সমাধান আছে।
বর্তমান সময়ে এই অবস্থা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। ট্রাক ব্যবসাও ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে আর এই ব্যাপারে অগ্রনী ভুমিকা রেখেছে ট্রাক লাগবে অ্যাপ। এর জন্য একটু স্মার্ট হতে হবে – মানে হচ্ছে আপনার একটি স্মার্টফোন থাকতে হবে আর থাকতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ। গুগল প্লেস্টোর থেকে ট্রাক লাগবে অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। খুব সহজে অ্যাপের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে পারবেন। ট্রাক লাগবে অ্যাপে আপনাকে এই মুহুর্তে যত ট্রিপ থাকবে আপনার গাড়ীর সাইজ অনুযায়ী সব দেখাবে এবং নতুন কোন ট্রিপ আসলেও নোটিফিকেশন পাঠাবে। আপনি কত টাকা হলে ট্রিপটি নিতে আগ্রহী তা অ্যাপের মধ্যেই বলতে পারবেন। বুঝতে অসুবিধা হলে ০৯৬৩৮০০০২৪৫ নম্বরে কল করে জেনে নিতে পারবেন তার সমাধান। অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করলে ট্রিপের অভাব থাকার কথা নয় আর হয়তো তখন ট্রিপ দেওয়ার পাশাপাশি নতুন ট্রাক কেনার কথাও ভাবতে পারেন।
এই লেখাটি পড়ে আপনি আশা করি বুঝে গেছেন ট্রাক ব্যবসায় সাফল্য পেতে হলে কি করতে হবে। অন্য ব্যবসার মত ট্রাক ব্যবসাতেও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন এবং সেই সাথে দরকার ধৈর্য্য কারন ট্রাক একবার রাস্তায় নামলে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। উপরোক্ত ১০টি টিপস মেনে আপনার ট্রাক ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন দ্রুত।